সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ২৮৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ৬২টি ল্যাবে মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৫৫টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ছয় লাখ ২৭ হাজার ৭১৯টি।
দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ১৫ হাজার ৭৮৬ জন। শনাক্তের হার ২২. ৩৯ শতাংশ। সেই সাথে মারা গেছেন মোট এক হাজার ৫০২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৫ এবং নারী তিনজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৫ জন, বাড়িতে ১২ এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন একজন।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৬৭৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৭৫৫ জন।
বিশ্ব পরিস্থিতি
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ লাখ ছাড়িয়েছে।
এছাড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৬৩৬ জনের এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৪ লাখেরও বেশি মানুষ।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, সোমবার পর্যন্ত ব্রাজিল ও রাশিয়া যথাক্রমে ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪১ এবং ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৮৭৯ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
রাশিয়ার পর সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীর তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৪ লাখেরও বেশি মানুষ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ২৫৪ জনের।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২২ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৯ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।